প্রকাশিত: Thu, Jan 4, 2024 8:40 PM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 10:10 PM

[১]শনিবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল [২]ভোট প্রতিহত নয়, বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি

শাহানুজ্জামান টিটু: [৩] ভোটের আগে পরে বা ভোটের দিন কোনো ধরনের সহিংতায় জড়াতে চায় না বিএনপি। ইতোমধ্যে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের এই বিশেষ বার্তা দিয়েছে দলের হাইকমান্ড। 

[৪] দলের নেতারা মনে করেন, হরতাল অবরোধের চেয়ে ভোট বর্জনে বিএনপির চলমান লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি মানুষের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে দেশ বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েছে ক্ষমতাসী আওয়ামী লীগ। তারা আরো মনে করেন, একতরফা ডামি এই নির্বাচন সরকার করে ফেলবে। তাই এই নির্বাচন যাতে কারো কাছে গ্রহণযোগ্য না হয় বা স্বীকৃতি না পায়-এই দিকে লক্ষ্য রেখে তারা কঠোর কর্মসূচির পরির্বতে হালকা কর্মসূচি দিয়েছে।  ভোটের দিন যাতে ভোটার উপস্থিতি কম করা যায় সেই লক্ষ্যে তারা হাঁটছেন। 

[৫] সূত্র জানায়, বিএনপি নির্বাচনকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে নির্বাচনের পরেও। তারা নির্দলীয় সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সভা-সমাবেশের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

[৬] বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশে পরিবর্তন আনতে হবে। বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না; কোনোদিন সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। অস্ত্রের রাজনীতিতেও বিশ্বাস করে না।

[৭] গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল ও ১২ দফায় ২৪ দিন অবরোধ কর্মসূচি করে বিএনপি। এরপর ভোট ঠেকাতে জনগণকে ভোট বর্জনের পাশাপাশি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। জনগণকে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহ করতে গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে ১২ দিন গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে বিএনপি।

[৮] দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানান,  ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো এবারের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে ‘তৃতীয় পক্ষ’ নাশকতা ঘটাতে না পারে, সে জন্য সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন দলের হাইকমান্ড। তারা মনে করছেন, কর্মসূচিকে ঘিরে অঘটন সৃষ্টি হলে এর দায়ভার বিএনপির ওপর দেওয়া হবে। এতে সারাবিশ্বে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।  জোর করে নির্বাচন করতে পারলেও রাষ্ট্র পরিচালনা করা তাদের জন্য সহজ হবে না। সম্ভাব্য একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় দেশের অর্থনীতি যেমন পঙ্গু হয়ে যাবে, তেমনি সাধারণ মানুষও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব